পৃষ্ঠাসমূহ

May 28, 2011

Unlock_mobile_phone : মোবাইলের অজানা লক কোড বের করার সফটওয়্যার

আপনারা অনেকে নিজেদের মোবাইলকে অন্যদের ব্যবহার করার হাত থেকে বাচাতে সিকিউরিটি পাসওয়্যার্ড দিয়ে লক করে রাখেন অনেক সময় কিছুদিন সিকিউরিটি লক ব্যবহার না করার কারনে পাসওয়্যার্ড ভুলে গিয়ে মহা সমস্যায় পড়তে হয় সবচেয়ে বেশী সমস্যায় ভুগতে হয় সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল ফোন কিনলে, কারন এইসব সেটের ডিফল্ট লক কোড পরিবর্তন করা থাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন ছোট একটি সফটওয়্যার Unlock Me ব্যবহার করে

Harddisk - ৭২০০ নাকি ৫৪০০ RPM হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ কোনটি বেছে নিবেন?

আমরা সবাই কম বেশি একটা বেপার জানি যে হার্ড-ডিস্ক ড্রাইবে ডাটা ট্রান্সফার হয় এর মধ্যে থাকা গোল চাকতির ঘূর্ণনের মাধ্যমে। তো আমরা যারা ডেস্কটপ পিসি ইউজ করি তারা পিসি ক্রয় করার সময় নিশ্চয়ই খেয়াল করে থাকবেন যে হার্ডড্রাইভের প্যাকেটের গায়ে ৭২০০ RPM লিখা ছিল আর ল্যাপটপের ক্ষেত্রে ৫৪০০ আর পি এম। এক্ষেত্রে RPM এর পূর্ণ অর্থ দাঁড়ায় রেভলুশান পার মিনিট(Revolutions Per Minute ) এই আর পি এম বুঝায় যে হার্ড ডিস্কের ইন্টারনাল প্লেটটি/চাকতিটি/ডিসটি কত দ্রুত(ঘূর্নন গতি) ঘুরবে

Super Natural - পুরুষের পেটে ‘সন্তান’ আশ্চর্য হলে ও সত্য………

পুরুষের পেটে ‘সন্তান’ আশ্চর্য হলে ও সত্য………
প্রকৃতির নিয়মে সন্তান ধারণের কথা নারীদেরই। কিন্তু নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় এক পুরুষের পেটে পাওয়া গেছে একসন্তান’-এর খোঁজ। আবদুল মালেক (৪০) নামের ওই ব্যক্তির পেটে শিশুসন্তানটি জীবিত আছে

Health - অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে সচেষ্ট হই

বেশী ভাল না! সর্দি, জ্বর...একটা প্যারাসিটামল, নাপা...খেয়ে নিলেই হয়। অসুখ সারবে না আবার!
দেখা গেল এসব খেয়ে ঠিকই অসুখ ভাল হয়ে গেল! আর আমাকে বিজ্ঞের চেয়ারে বসালেন। কখনো কী একটু ভেবে দেখেছেন অসুখটি ব্যাকটেরিয়াঘটিত নাকি ভাইরাসঘটিত। আমরা অনেকেইতো অ্যান্টিভাইরালের কথাও শুনিনি... এটা কী জিনিস ভাই! অসুখের নাম শুনলেই হল সর্দি, জ্বর, কাশি, মাথাব্যাথা, পেটব্যাথা থেকে পা-ব্যাথার কথা শুনলেই বিজ্ঞের মতো পরামর্শ দেই: অ্যান্টিবায়োটিক খা! তাহলে আজ থেকে শুনে রাখুন আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ চীনে প্রতিবছর ৮০,০০০ মানুষ মারা যায় নিয়ম না মেনেই অপ্রয়োজনীয় ভুল পদ্ধতিতে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করে

Call_blocking_sofware : বিরক্তিকর মিসকল বা কল ঠেকানোর সফটওয়্যার

 বারবার মিসকল বা কল দিয়ে ডিস্টার্ব করছে? এই সমস্যাটি সাধারনত বেশি ভোগে মেয়েরা, উটকো কুরুচীপূর্ন মানুষ মেয়েদের নম্বর জোগার করে মিসকল দিয়ে বা কল করে বিরক্ত করে বাধ্য হয়ে অনেকে সিম পরিবর্তন করেন, যার ফলে পরিচিত জনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে হয় এই সব উটকো কলারদের ঠেকানোর জন্য একটি সফটওয়্যার হচ্ছে MCleaner

May 15, 2011

Medicine-প্যারাসিটামল প্রসঙ্গ – ব্যথানাশক ব্যবহারে সচেতন হউন.

ব্যথানাশক ওষুধ প্যারাসিটামলের সঙ্গে আমরা সবাই মোটামুটিভাবে পরিচিত। ওষুধটির জ্বর কমানোর গুণ থাকায় জ্বরের জন্য এটির ব্যবহার হয়ে থাকে। বেদনানাশক জ্বর উপশমক হিসেবে প্যারাসিটামল (নাপা, এইস, প্যারাপাইরল বা পাইরালজিন প্রভৃতি নামেও পাওয়া যায়) যথেষ্ট কার্যকর অনেকটা নিরাপদ বলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও ওষুধটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ব্যথা ব্যথার ওষুধ প্যারাসিটামল সম্পর্কে আমাদের জানার পরিধি আরও কিছুটা বাড়ালে সবার উপকার হবে
ব্যথার শ্রেণীভাগ কারণ
আমাদের শরীরে পরিস্কুট রোগলক্ষণের মধ্যে ব্যথাই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করা হয়। অনেক রোগনির্ণয়ে ব্যথার ধরন বা তীব্রতা সহায়ক হয়
উৎসস্থল বিচারে ব্যথাকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়-
ত্বক, পেশি, অস্থিসন্ধি ইত্যাদি জায়গা থেকে উৎপন্ন ব্যথা, দৈহিক বা সোমাটিক ব্যথা, যা সোমাটিক স্মায়ুর সাহায্যে মস্তিষ্কে পৌঁছায়।
দেহের ভেতরের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে উদ্ভূত হয়ে অটোনমিক বা স্বয়ংক্রিয় স্মায়ুপথে বাহিত হয়ে মস্তিষ্কে পৌঁছায়।
সাধারণত আঘাত, ক্ষত, চাপ, প্রদাহ বা রোগজনিত পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কোষকলা থেকে রাসায়নিক পদার্থ বের হয়ে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে, যা স্মায়ুপথ বেয়ে মস্তিষ্কে অবস্থিত থ্যালামাসে পৌঁছায় এবং বেদনা অনুভূতির জন্ম দিয়ে থাকে।
আমাদের প্রত্যেকেরই ব্যথা অনুভব করার একটি স্বাভাবিক ক্ষমতা রয়েছে। চাপ বা অনুরূপ কারণে যে অবস্থায় সুস্পষ্ট ব্যথার অনুভূতি উপলব্ধি করা যায়, সে অবস্থাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে পেইন থ্রেসহোল্ড বলা হয়। যখন এই পেইন থ্রেসহোল্ড বাড়ানো হয়, অধিক চাপ বা ব্যথা সৃষ্টির কারণ তীব্রতর না হলে ব্যথা অনুভূত হয় না। অন্যদিকে পেইন থ্রেসহোল্ড কমানো হলে অল্পতেই ব্যথা উপলব্ধি হয়। নারী-পুরুষ, দেহের তাপমাত্রা, গা ঘেমে যাওয়া, ভয়, উদ্বিগ্নতা, অনুভূতি ইত্যাদি পেইন থ্রেসহোল্ডের পরিবর্তন ঘটিয়ে থাকে। ব্যক্তিবিশেষে ভিন্নতর পেইন থ্রেসহোল্ড আবার একই ব্যক্তির বিভিন্ন সময়ে হতে পারে। কারণেই গবেষণার ফলাফল রোগীর গ্রহণ করা বেদনানাশকের মূল্যায়নে কখনো বা পার্থক্য দেখা যায়।
বেদনানাশক ওষুধের ক্রিয়াপদ্ধতি পুরোপুরি নিরূপণ করা সম্ভব না হলেও অধিকাংশ তথ্য থেকে এটা স্বীকৃত যে, স্মায়ুবাহিত বেদনাপ্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি বেদনা উপশমের একটি অন্যতম প্রক্রিয়া। রোগীর বেদনা উপলব্ধি এবং গুরুমস্তিষ্কে বেদনার প্রতিক্রিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তারের মধ্যে বেদনানাশক ওষুধের কার্যকারিতা নিহিত
ব্যথার ওষুধ প্যারাসিটামল
ব্যবহারিক বিচারে বেদনানশক ওষুধ সাধারণভাবে দুই ভাগে বিভক্ত। নারকোটিক বেদনানাশক ওষুধ, যেমন-মরফিন, প্যাথিড্রিন ইত্যাদি। এগুলো মাদকজাতীয় আসক্তি তৈরি করে। -জাতীয় ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ সম্পূর্ণভাবে নিষেধ। আরেকটি ভাগ হচ্ছে, -মাদক বেদনানাশক, যেমন-প্যারাসিটামল, অ্যাসপিরিন ইত্যাদি। এদের মধ্যে প্রদাহবিরোধী, যেমন-আইবুপ্রোফেন ইত্যাদিও ব্যথানাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
দৈহিক বা সোমাটিক ব্যথায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে -মাদক বেদনানাশক, বিশেষ করে প্যারাসিটামলই ব্যবহৃত হয়। মাথাব্যথা, গলাব্যথা, পেশির ব্যথা, দাঁতের ব্যথা, ঋতুকষ্ট ইত্যাদিতে প্যারাসিটামল খুবই কার্যকর। জ্বর উপশমেও প্যারাসিটামল একটি ফলপ্রসূ ওষুধ। বিশ্বের অন্যান্য দেশে কিছু ওষুধ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই বিক্রি হয় এবং যে-কেউ নির্দিষ্ট ওষুধগুলো কিনতে পারে। এসব ওষুধ ওভার কাউন্টার বা ওটিসি হিসেবে পরিচিত। আমাদের দেশের ফার্মেসিগুলো থেকে অ্যান্টিবায়োটিকসহ যে-কেউ যেকোনো ওষুধ কিনতে পারে, অর্থাৎ ওষুধ নীতিমালা মেনে চলা হয় না।
প্যারাসিটামল, যা ব্রিটিশ ফার্মাকোপিয়া অনুসারে পরিচিত, আর আমেরিকায় নাম এসিটোমাইনোফেন। ব্যথানাশক ওষুধ একটিই, শুধু ব্রিটিশ আর আমেরিকায় নামের ভিন্নতা। আমাদের দেশে প্যারাসিটামল নামেই বেশি প্রচলিত। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৫০০ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট একটি, কখনো প্রয়োজনে দুটি। ২৪ ঘণ্টায় তিন-চারবার খাওয়াই নির্দিষ্ট ডোজ। কিন্তু ২৪ ঘণ্টায় চার গ্রাম বা ৪০০০ মিলিগ্রামের বেশি খাওয়া যাবে না। শিশুদের ক্ষেত্রে বয়স ওজন অনুযায়ী প্যারাসিটামল সিরাপ দিতে হবে। চার গ্রাম হচ্ছে সর্বোচ্চ মাত্রা।
প্যারাসিটামলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সাধারণত গুরুতর নয়। দু-একটা ক্ষেত্রে রক্তের প্রয়োজনীয় উপাদানগুলোর অভাব সৃষ্টি বা চামড়ায় ফুস্কুড়ি দেখা গেছে।
উল্লিখিত পরিমাণের চেয়ে বেশি প্যারাসিটামল গ্রহণ করা উচিত নয়। বেশি গ্রহণ করলে কিডনি লিভারের ক্ষতির ঝুঁকি থাকে। অনেকেই ২৪ ঘণ্টায় ১০-১২টি ৫০০ মিলিগ্রামের প্যারাসিটামল খেয়ে থাকে। এটি মোটেও ঠিক নয়। মোট চার গ্রাম হচ্ছে ৫০০ মিলিগ্রামের আটটি ট্যাবলেট, এটি হচ্ছে সর্বোচ্চ নির্ধারিত মাত্রা। লিভারের সমস্যা থাকলে আরও কম মাত্রা গ্রহণ করতে হবে
এফডিএঃ জুলাই ২০০৯
আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগস (এফডিএ) কর্তৃপক্ষ জুলাই এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, আমেরিকায় অতিরিক্ত এসিটোমাইনোফেন বা প্যারাসিটামল ব্যবহারের জন্য লিভার অকার্যকর হয়ে অনেকে মৃত্যুবরণ করছে।
এফডিএ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ কমিটির মিটিং করেছে। প্যারাসিটামলের সঙ্গে কোডিন বা -জাতীয় মিশ্রণের ব্যাপারে সতর্কতার কথা বলেছে। আমাদের দেশেও বর্তমানে প্যারাসিটামল কোডিনের মিশ্রণে তৈরি ট্যাবলেট উৎপাদিত বাজারজাত হচ্ছে। জন্য শুধু প্যারাসিটামল গ্রহণ অনেক নিরাপদ। এফডিএ প্রস্তাব করেছে, প্যারাসিটামলের সঙ্গে কোডিন বা -জাতীয় কোনো মিশ্রণ থাকলে ওষুধের গায়ে বক্স আকারে উল্লেখ থাকতে হবে

জরুরি সচেতনতা
বেদনানাশক অন্যান্য ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শে গ্রহণ করা উচিত। আমাদের স্বাস্থ্যের দায়িত্ব অনেকটা আমাদের ওপর। জন্য স্বনির্বাচিত ওষুধ গ্রহণে সতর্কতা অবলম্বন করুন।