পৃষ্ঠাসমূহ

June 16, 2011

সম্পূর্ণ পোর্টেবল লিনাক্স এপ্লিকেশন ডাউনলোড করুন

লিনাক্সে পোর্টেবল এপ্লিকেশন লিনাক্সপ্রেমীদের অনেকদিনের চাওয়া । ইউনিভার্সিটির ল্যাবে লিনাক্স (উবুন্টু) অপারেটিং সিস্টেম পিসি থাকায় আমার প্রায়ই একটা সমস্যা হত। কোনো মিডিয়া ফাইল ডাউনলোড করার পরে তা প্লে করা যেত না কোডেক ইন্সটল করা না থাকার কারনে। আবার ইচ্ছা করলেও কোডেক ইন্সটল করে নেয়া যেত না, কেননা ছাত্রদের এডমিনিস্ট্রেটর একাউন্টে থেকে নেট একসেস করার সুবিধা নেই। তখন ডাউনলোড করা গান বা ভিডিও চালিয়েও দেখতে পারতাম না যে আসল ফাইল ডাউনলোড হয়েছে কি না। এছাড়াও, আরেকটি সমস্যা ছিল। সেটি হল এডমিন একাউন্ট না হওয়ায় পছন্দসই সফটওয়্যার ইন্সটল করতে পারতাম না।

খুঁজতে লাগলাম সমাধানের আশায়। তখন গুগলিং করে পেয়ে গেলাম এই সাইটটি। নিজেকে অনেক বোকা বোকা মনে হল। এতদিন ধরে এই সাইট লিনাক্সের পোর্টেবল সফটওয়্যার দিয়ে আসছে আর আমি এর কিছুই জানি না। তক্ষুনি ডাউনলোড করে নিলাম ভি.এল.সি প্লেয়ারটা। সিঙ্গেল এক্সিকিটেবল ফাইল, পেন ড্রাইভে নিলাম, ইন্সটল করার ঝামেলা থেকে মুক্ত থেকে সবগুলো মিডিয়া ফাইল ভিএলসি দিয়ে চালিয়ে চেক করে নিলাম। ভিএলসির সুবিধাটা হচ্ছে এতে আলাদা কোনো মিডিয়া কোডেক ডাউনলোড করা লাগে না। আর এই পোর্টেবল ভার্সন গুলোতে সব ডিপেন্ডেন্সি ফাইল এমবেড করে দেয়াই আছে, তাই একদম ঝামেলা মুক্ত (ধন্যবাদ এগুলোর পাবলিশারকে)।
sshot 43 সম্পূর্ণ পোর্টেবল লিনাক্স এপ্লিকেশন ডাউনলোড করুন | Techtunes
sshot 44 সম্পূর্ণ পোর্টেবল লিনাক্স এপ্লিকেশন ডাউনলোড করুন | Techtunes
সাইটের সফটওয়্যার এর একাংশ
sshot 46 সম্পূর্ণ পোর্টেবল লিনাক্স এপ্লিকেশন ডাউনলোড করুন | Techtunes
সাইটের সফটওয়্যার এর একাংশ
কিভাবে ডাউনলোড করতে হয়?
  • প্রথমে পোর্টেবল লিনাক্স এপস এই ওয়েব সাইটে যান।
  • প্রথম পাতায়ই দেখুন সব সফটওয়্যার এর লিস্ট দেয়া আছে। জাস্ট আইকনের উপরে ক্লিক করুন, ডাউনলোড শুরু হয়ে যাবে।
  • এবার ডাউনলোড শেষ হলে যে ফাইলটাইয় right mouse button ক্লিক করে properties এ যান।
sshot 49 সম্পূর্ণ পোর্টেবল লিনাক্স এপ্লিকেশন ডাউনলোড করুন | Techtunes
প্রোপার্টিজ মেনু
  • এখানে দেখুন একটা check box এর পাশে লেখা আছে ‘allow execute file as program’, এই চেকবক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে বের হয়ে আসুন।
sshot 50 সম্পূর্ণ পোর্টেবল লিনাক্স এপ্লিকেশন ডাউনলোড করুন | Techtunes
এখানে চেক বক্সে টিক দিচ্ছি
  • এবার ডাবল ক্লিক করুন আর উপভোগ করুন সম্পূর্ণ পোর্টেবল লিনাক্স এপ্লিকেশন।

ভাইরাস প্রোগ্রামে কী থাকে?


ভাইরাস কী?
আর সাধারন দশটি প্রোগ্রামের মত ভাইরাস একটি প্রোগ্রাম। ইতিমধ্যে আমাদের টেকটিউনস এর অনেক টিউনার গন আমাদের ভাইরাস এর বিভিন্ন কোডিং প্রদান করেছেন। আমরা যারা একটু কম বুঝি তারা শুধু স্টেপ গুলো ফলো করেছি। আর যাদের প্রোগ্রমিং এর একটু ধারনা আছে তারাতো তা নিয়ে রিতিমত গবেষনা করে তার আপডেট করেছে।
ভাইরাস কিন্তু খুব ভাল প্রোগ্রামার কর্তৃক তৈরী হয়ে থাকে। কিছু কিছু ভাইরাস আছে যা একের প্রয়োজনীয় কাজের জন্য তৈরী হয় কিন্তু তা আবার অন্যকে ভোগায়। যেমন আপনি একটি প্রোগ্রাম তৈরী করলেন যার কাজ হল আপনার কম্পিউটার এর USB Storage কে ৩০মিনিট পর পর ব্লক করে দেয়া যা আপনার সিকিউরিটির জন্য প্রয়োজন। কিন্তু তা আমার জন্য এক ধরনের সমস্যা কারন আমাকে সার্বক্ষনিক কাজের সময় USB Storage ডাটা ব্যাকআপ রাখতে হয়। সাধারন দৃষ্টিতে এই জিনিষটি না জানার কারনে আপনার কাছে তা ভাইরাস মনে হতে পারে। কিন্তু এটি কিন্তু একজন প্রোগ্রামার এর চিন্তাশক্তির ফসল।
কিন্তু ভাইরাস প্রোগ্রমের কোডিং এমন ভাবে করা হয় যতে আমাদের উইন্ডোজ এর বিভিন্ন ফাইল এর সাথে লিংক হয়ে যায়। যার দ্বারা আমাদের নজরের বাইরে সে তার কাজ করে থকে।
আমার জানা মতে প্রথম ভাইরাসটি তৈরী হয়ে ছিল শুধুমাত্র মজা করার জন্য এবং কৌতুহল মেটানোর জন্য, আর সেটি হল একটি ফ্লপি কে একটি নির্দিষ্ট বার কপি করার পর (সম্ভবত ২০ বার) সে একটি মেসেজ দেখাতো। কিন্তু সেটি ছিল ডিস্ক অপারেটিং সিস্টমের আমলে। আমরা এখন গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেজ এর যুগে বসবাস করি, তাই আমাদের আমলের ভাইরাস অনেক কমপ্লেক্স
ভাইরাস প্রোগ্রামে কী কী থাকে?

Repliction Engine : এর মাধ্যমে একটি অনুলিপি (Copy) তৈরী করে এবং অন্যান্য ফাইলে তা ছড়িয়ে দেয়
Protection : এর মাধ্যমে একটি ভাইরাস তার কোডিং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ফাইল এর কোডিং এর মাঝে লুকিয়ে রাখে

Trigger : একটি ঘটনা বা সময় যার জন্য ভাইরাস ফাইলটি অপেক্ষা করতে থাকে। ঘটনা ঘটলে বা সময় পৌছলে সে নিজেকে একটিভ্যাট করে তোলে। এই সময়কে ভাইরাস কম্পউটার এর সিস্টেম এর ক্লক এর মাধ্যমে বুঝতে পারে, যেমন - সকাল ১০.৫০মিনিট অথবা একটি প্রোগ্রম চালু করার ১৫ মিনিট সময় অতিবাহিত হবার পরে। আবার এমন হতে পারে যেমন ব্যবহার কারী উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার দ্বারা wav ফরমেটের কোন অডিও চালালে ব্যাগগ্রউন্ডে প্রোগ্রাম চালাও -এমন

Payload : এটি হল ভাইরাস চালানোর পরের অংশ। অর্থাৎ সে তার কাজ সম্পন্ন করার পর যা ঘটে থাকে।